১। আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ হে দামাস্কাসের লোক সকল ! 'আদ জাতির এমন এক সেনাবাহিনী ছিল যা ছিল আদান থেকে ওমান পর্যন্ত বিস্তৃত। আজ কে আছে, আমার কাছ থেকে দুই দিরহামে 'আদের ধ্বংসাবশেষ কিনবে?" [তাফসির আল ক্বুরতুবি, তাফসির ইবন কাসির]
২। "যারা ছিল আদ, তারা পৃথিবীতে অযথা অহংকার করল এবং বলল, আমাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিধর কে?" [সূরা ফুসসিলাত, ১৫]
আর আজ?
"আপনি তাদের কোন অস্তিত্ব দেখতে পান কি?" [সূরা আল-হাক্বা, ৮ ]
৩। "আল্লাহ বললেনঃ আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে (ইবলিস) কিসে সিজদা করতে বারণ করল? সে বললঃ আমি তার চাইতে শ্রেষ্ট।…" [আল-আরাফ, ১২]
৪। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যার মনে একটি অণু পরিমাণ ওজনেরও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। ” [আল-আলবানীর মতে সাহিহ]
৫।রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ইযযত সম্মান আল্লাহ তায়ালার ভূষণ এবং অহংকার তাঁর চাদর। (আল্লাহ তায়ালা বলেন) যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে ঝগড়ায় অবতীর্ণ হবে আমি তাকে অবশ্যই শাস্তি দেবো। [সাহিহ মুসলিম,৬৪৪১]
৬। "অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। [সূরা লুকমান ১৮]
প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সত্তাগতভাবে ভাবে আত্মকেন্দ্রিক । মানুষ এখানে তার ভারচুয়াল প্রতিবিম্ব তৈরি করে, স্বেচ্ছায় কিংবা অজান্তে। তারপর নিজেই নিজসৃস্ট প্রতিবিম্বের মোহে সম্মোহিত হয়ে পরে। আত্মমুগ্ধতা কারজ করে।
অহংকার এমন এক ব্যাধি যা 'আলেম কিংবা জাহেল, আবেদ কিংবা ফাসেক্ব, মুসলিম কিংবা মুসলিমাহ কাউকেই ছাড় দেয় না। প্রকৃত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যই অহংকার বৈধ না - ইবলিসের মতো 'আবেদ, আলেমের কাজে তার ইবাদাহ আর 'ইলম আসে নি। ভারচুয়াল প্রতিবিম্বের কথা বাদই দিলাম। প্রতিটি কাজের, প্রতিটি কথার যাররা-যাররা হিসেবে দিতে হবে। যেভাবে বাস্তব জীবনের কথা আর কাজের হিসেব দিতে হবে, তেমনিভাবে হিসেব দিতে হবে ফেইসবুকের প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা অক্ষর, প্রতিটা ক্লিকের জন্যও। আল্লাহ-র কাছে আশ্রয় চাই। আমাদের চিন্তা করা উচিত কিভাবে আমরা এখানে সময় ব্যয় করছি। তাই যা ইচ্ছে করুন, যা ইচ্ছে বলুন, কিন্তু স্মরণ রাখুনঃ
যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে-একটি মাত্র ফুৎকার
এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে,
সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।
সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে।
এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে।
সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না। [শুরা আল হাক্বা ১৩-১৮ ]
"…তারা বলবেঃ হায় আফসোস, এ কেমন আমলনামা। এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি-সবই এতে রয়েছে। তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। আপনার পালনকর্তা কারও প্রতি যুলুম করবেন না।" [আল-কাহফ, ৪৯]
#রিমাইন্ডার