‘মানুষ কি মনে করে যে, তারা এ কথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদের পরীক্ষা করা হবে না? এবং নিঃসন্দেহে আমি তাদেরও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদের।’ (তরজমা, সূরা আল-আনকাবুত, ২, ৩)
নবি আলাইহিমুস সালামগণ পরীক্ষিত হয়েছেন, ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে যিনি আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় তিনিও এগুলো পাননি। কোনো রাসূলের দাওয়াহর পথ দুঃখ, কষ্ট, পরীক্ষা ছাড়া ছিল না। এমন কোনো রাসূলের কথা জানেন যিনি তার জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি কোনো দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেননি? তাঁরাই আমাদের আদর্শ, দাওয়াহর ক্ষেত্রে তাঁরাই অনুসরণীয় আলাইহিমুস সালাতু ওয়াস সালাম।
আজকে এমন অনেককে দেখা যায় যে সময়ের যে রীতি, যা বললে জনপ্রিয়তা পাওয়া যাবে, মানুষের মন জয় করা যাবে, সেটাই তাদের আদর্শ। স্রোতের সাথে চলাই তাদের দ্বীন, তাদের ধর্ম। আপনি মনে করছেন আপনি হকের ওপর আছেন, কিন্তু আপনার কোনো শত্রু নেই, আপনি পরীক্ষিত হচ্ছেন না–যদি এমন হয়, তাহলে বাসায় যান, রুমের দরজা বন্ধ করে আবার শুরু থেকে চিন্তা করে দেখুন। বারবার ভেবে দেখুন, আপনি আসলেই হকের ওপর আছেন কি না।
‘এমনিভাবে আমি প্রত্যেক নবির জন্য শত্রু হিসেবে সৃষ্টি করেছি শয়তান–মানুষ ও জিনদের মধ্য হতে। তারা ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে একে অপরকে চমকপ্রদ কথা বলে। যদি আপনার পালনকর্তা চাইতেন, তবে তারা এ কাজ করত না। সুতরাং তাদেরকে তাদের মিথ্যার ওপরে ছেড়ে দেন।’ (তরজমা, সূরা আল-আনআম, ১১২)
যারাই হক পথে চলবে তাদের শত্রু থাকবেই। এটা আল্লাহর সুন্নাহ, আপনি আল্লাহ র সুন্নাহকে বদলাতে পারবেন না। এ শত্রু কারা? কাফির, মুশরিক, যালিম, এখনকার সময়ের মর্ডানিস্টরাসহ আরও অনেক ধরনের লোকজন–এই শত্রুদের অন্তর্ভুক্ত।
যখন আপনি সঠিক মানহাজের ওপর, সঠিক আকিদাহ নিয়ে দাওয়াহ করবেন এবং আপনার দাওয়াহ কার্যকরী হবে তখন অবশ্যই আপনার শত্রু থাকবে। আজকের দিনে কেউ যদি সত্যের দিকে আহ্বান করে, যদি পরিপূর্ণ তাওহিদের কথা বলে, তবে কাফিরদের আগে নামধারী তথাকথিত মুসলিমরাই তার বিরোধিতা করবে।নির্ভেজাল তাওহিদে বিশ্বাসী সত্যপন্থীরা আজ আগন্তুকদের মধ্যেও আগন্তুক, এমনকি তাদের মাঝেও আগন্তক।
শাইখ আহমাদ মুসা জিব্রিল