১.
প্রথমবারের মতো টেলিফোন দেখার পর অ্যালেক্স্যান্ডার গ্র্যাহ্যাম বেলকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাদারফোর্ড বি. হেইয়েস বলেছিল –
‘এটা একটা বিস্ময়কর আবিস্কার। কিন্তু কে এটা ব্যবহার করতে চাইবে?’
আমাদের কাছে শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, কথাটার পেছনে যুক্তি ছিল। নিজেকে ১৮৭৬ সালে কল্পনা করুন। একটা বিচিত্র চেহারার যন্ত্র দিয়ে অনেক দূরে থাকা মানুষের সাথে কথা বলা যাচ্ছে, জায়গা থেকে নড়তে হচ্ছে না এক বিন্দুও। প্রাচীন যুগের কোন মানুষ দেখলে নির্ঘাত একে জাদু মনে করতো। কিন্তু অল্প কিছু মানুষ ছাড়া আর কেউ এ প্রযুক্তির ব্যাপারে কিছু জানেই না। অধিকাংশ মানুষ যোগাযোগ করে চিঠি কিংবা টেলিগ্রাফ দিয়ে। প্রযুক্তি হিসেবে টেলিফোন বিস্ময়কর, কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু দৈনন্দিক জীবনে এর ব্যবহার কী?
এ প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা দেড়শো বছর আগে আজকে মতো সহজ ছিল না।
পৃথিবীতে শুধু অল্প কিছু মানুষের হাতে ফোন থাকলে, এ প্রযুক্তি মোটামুটি অর্থহীন। কিন্তু ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে এর প্রযুক্তির উপকারিতা। ব্যবহারকারীদের নেটওয়ার্ক যতো বিস্তৃত হয়, টেলিফোনের খুটি আর তার যতো বাড়ে, প্রযুক্তি হিসেবে ততোই গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠে টেলিফোন।
একইধরণের বৈশিষ্ট্য সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যায়। ২০০৬ সালের শেষে ফেইবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি। আজ সংখ্যাটা ২৭০ কোটি। ফেইসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা যতো বেড়েছে ততো বেড়েছে ফেইসবুকের চাহিদা। ব্যবহারকারীর সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফেইসবুকের ব্যাপারে আগ্রহ। আগ্রহের কারণে বেড়েছে ব্যবহারকারী। এভাবে একটা চক্র তৈরি হয়েছে।
ওয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা যতো বেড়েছে ততোই যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ওয়াটস্যাপের কার্যকারিতা বেড়েছে।
অ্যামাযন ডট কমে ক্রেতাবিক্রেতার সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বাজার হিসেবে তার আকর্ষন।
বিটকয়েনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যাপার। ব্যবহারকারী বাড়লে, এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। দাম বাড়ে। ফলে লেনদেনের মাধ্যমে হিসেবে বিটকয়েনের ব্যবহারও বাড়তে থাকে।
টেলিফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স, বিটকয়েনের মতো সার্ভিসগুলোর উপকারিতা এবং উপযোগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে। যতো বেশি মানুষ এগুলো ব্যবহার করে ততো বৃদ্ধি পায় এগুলো ভ্যালু।
এ বৈশিষ্ট্যকে ‘নেটওয়ার্ক ইফেক্ট’ বলা হয়।
ইন্টারনেটও নেটওয়ার্ক ইফেক্টের একটা ভালো উদাহরণ। শুরুর দিকে অল্প কিছু মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। করার মতো, দেখার মতো তেমন কিছু ছিল না ইন্টারনেটে। মানুষের আগ্রহও ছিল না। কিন্তু ব্যবহারকারী বাড়ার সাথে সাথে কনেন্ট বেড়েছে, তৈরি হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের নতুন নতুন দিক। ফলে বেড়েছে ইন্টারনেটের উপকারিতা। এসেছে আরো নতুন নতুন ব্যবহারকারী।
আমাদের জীবনের আরো অনেক ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক ইফেক্ট কাজ করে। অ্যাকাডেমিক ডিগ্রির কথা ধরুন। ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি-র মতো ডিগ্রিগুলো বিশ্ব জুড়ে আজ প্রচলিত। একসময় অন্যান্য আরো অনেক ডিগ্রি ব্যবস্থা চালু ছিল। কিন্তু এগুলোই এখন সর্বজনীন হয়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে এই ডিগ্রিগুলোর চাহিদা। এমনকি ইসলামী শিক্ষার ক্ষেত্রেও ক্লাসিকাল ইজাযাহ ব্যবস্থা থেকে আমরা ব্যাচেলর-মাস্টার্স-পিএইচডি সিস্টেমের দিকে ঝুঁকে গেছি।
নেটওয়ার্ক ইফেক্টের একটা ফলাফল হল, একটা নেটওয়ার্ক যতো বিস্তৃত হবে ঐ নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রনে থাকা মানুষের ক্ষমতা ততোই বাড়তে থাকবে।
অ্যাকাডেমিক ডিগ্রির কথাই চিন্তা করুন। কোন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাচেলর-মাস্টার্স-পিএইচডি সিস্টেম চালু করতে চাইলে কী করতে হবে? এই ব্যবস্থার উৎপত্তিস্থলে যেতে হবে। যারা এ সিস্টেম বানিয়েছে, এর বিকাশ করেছে, শিখতে হবে তাদের কাছে। মেনে নিতে হবে তাদের বেঁধে নেয়া মাপকাঠি, কারিকুলাম। অনুসরণ করতে হবে তাদের ঠিক করা রেগুলেশান।
কারণ সিস্টেমটা ওরা নিয়ন্ত্রন করে।
চাইলে ওরা ‘যৌন শিক্ষা’র নামে যিনা-সমকামিতা কিংবা ট্র্যান্সজেন্ডারবাদের ধ্যানধারণা আপনার বাচ্চার মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পারে। আমাদের কিছুই করার থাকে না। কেন্দ্রে বসে থাকা লোকেরা চাইলেই পুরো ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।
পলিটিকাল সিস্টেমগুলোকেও নেটওয়ার্ক হিসেবে চিন্তা করা যায়। নেটওয়ার্ক ইফেক্ট কাজ করে বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী পক্ষ ‘জাতিসংঘ’ নামে একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। আইন, মানবাধিকার, নাগরিকত্ব, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ম বানিয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান। নতুন নতুন দেশ যুক্ত হবার সাথে সাথে বেড়েছে এ প্রতিষ্ঠানের প্রভাব। বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের বানানো নিয়মকানুন। পাকাপোক্ত হয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন ব্যবস্থা।
খিলাফাহ ইসলামিয়্যাহ-ও একটা স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক। খালীফাহকে বাইয়াত দেয়ার মাধ্যমে আঞ্চলিক শাসকরা লাভবান হয়। আঞ্চলিক শাসকের বাইয়াহ খালিফাহর কাছে গৃহীত হলে তার শাসন বৈধতা পায় মুমিনদের চোখে।
ভারতবর্ষে কিংবা আন্দালুসে আব্বাসীদের কার্যত কোন প্রভাব না থাকলেও ইলতুতমিশ কিংবা ইউসুফ বিন তাশফিনের মতো শাসকরা তাই খালিফাহকে বাইয়াত দেয়ার মাধ্যমে তাদের শাসনকর্তৃত্ব পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।
বাইয়াতকারীর সংখ্যার সাথে বাড়ে খিলাফাহর আকার। খিলাফাহ আকারের সাথে বাড়ে বাইয়াত দিতে ইচ্ছুক মানুষ এবং শাসকের সংখ্যা। বাড়ে খিলাফাহর প্রভাব এবং খালিফাহর কাছে বাইয়াহ গৃহীত হবার মর্যাদা। নেটওয়ার্ক ইফেক্ট – ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে সিস্টেমের ভ্যালু বাড়তে থাকে।
বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা এবং ইসলামী ব্যবস্থা দুটো প্রতিদ্বন্দ্বী নেটওয়ার্ক। এক অর্থে এ বিশ্বব্যবস্থা গড়েই উঠেছে মুসলিম রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার ধ্বংসস্তূপের ওপর। দখল আর লুটপাট করে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোকে শুষে ছিবড়ে বানানোর পর, কেটেকুটে ছিন্নবিভিন্ন করার পর, খিলাফাতের পতনের পর, পাকাপোক্ত হয়েছে এ বিশ্বব্যবস্থা ।
দারুল কুফর এবং দারুল ইসলামের স্বার্থ সাংঘর্ষিক। এটা একটা যিরো সাম গেইম (zero sum game)। অর্থাৎ একজনের লাভ মানে অবশ্যই আরেকজনের ক্ষতি। .জাতিসংঘ মুসলিম দেশগুলোকে সদস্য হিসেবে অংশ নিতে দেয়। ছোটখাটো আলঙ্কারিক কিছু বিষয়ে কথা বলতে দেয়। কিন্তু মূল এজেন্ডা এবং পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রন করে পরাশক্তিরা। ইহুদী –খ্রিস্টান এবং মুশরিকরা।
আন্তর্জাতিক আইন কী হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন ধরণের সহিংসতাঁকে বৈধতা আর কোনটাকে অবৈধ বলবে, কোন আদর্শকে মেনে নেয়া হবে আর কোনটাকে চরমপন্থা বলা হবে–ওরাই সেটা ঠিক করে। কারণ এই নেটওয়ার্কটা ওদের। আর ওরা জানে এ বিশ্বব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য মুসলিম ভূখণ্ডগুলোকে পশ্চিমের ওপর নির্ভরশীল এবং অনুগত রাখা আবশ্যক।
আধুনিক বিশ্বব্যবস্থা তাই নিখাদ ইসলামী প্রতিষ্ঠান এবং ইসলামী ব্যবস্থা গড়ার যেকোন প্রচেষ্টার বিরোধিতা করবে। সক্রিয় বিরোধিতার পাশাপাশি থাকবে কাঠামোগত নানা জটিলতা। কারণ এ ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যাতে মুসলিমদের নিয়ন্ত্রনে থাকা কোন নেটওয়ার্ক সুবিধা করতে না পারে।
এজন্যই সিস্টেমের ভেতর ঢুকে সিস্টেম পরিবর্তনের চিন্তা বাস্তবসম্মত না। ব্যাপারটা বোঝার জন্য একটা পিরামিডের কথা চিন্তা করুন। আপনি পিরামিডটাকে বড় করতে পারবেন। যতো ইচ্ছা পাথর যুক্ত করতে চান করুন, তবে শর্ত হল পাথর পিরামিডের একদম নিচে যুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ পিরামিডকে উঁচু করার একমাত্র উপায় হল এর নিচে আরো মানুষ নিয়ে আসা।
এমন একটা কাঠামোতে নিচে থেকে ঢুকে পিরামিডের একদম টপে যাওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। আপনার নিচে থাকা মানুষের তুলনায় উপরে উঠতে পারবেন, কিন্তু যারা একদম উপরে ছিল তাদেরকে সরাতে পারবেন না। সিস্টেমে ঢুকে আপনি ব্যক্তিগত লাভবান হতে পারেন। সিস্টেম থেকে শেখা বিদ্যা ইসলামী ব্যবস্থার পক্ষে কাজে লাগানো যেতে পারে। কিন্তু সিস্টেমের ভেতরে থেকে ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। .
২.
আরবে একটা সামাজিক-রাজনৈতিক এবং বিশ্বাসগত কাঠামো ছিল, যার নেতৃত্বে ছিল ক্বুরাইশ। ইসলাম জাহিলিয়্যাহর এ কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। যৌক্তিকভাবেই নবী (ﷺ) এবং তাঁর দাওয়াহকে কুরাইশ তাদের পুরো ব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছিল। তাই তারা ইসলামের বিরোধিতা করলো এবং শেষ পর্যন্ত নবী (ﷺ)-কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল।
নবী (ﷺ) তখন আল্লাহর নির্দেশে হিজরত করলেন। অল্প কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে মদীনাকে বানালেন ইসলামের স্বাধীন ঘাঁটি। গড়ে উঠলো কুরাইশের নিয়ন্ত্রনের বাইরে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবস্থা। আরবের মরুভূমির মাঝে এক ছোট্ট শহর। দু’ পক্ষের মধ্যে লড়াই হল, আল্লাহ মুসলিমদের বিজয়ী করলেন।
তারপর নতুন এই ব্যবস্থা ধীরে ধীরে প্রসারিত হল। দলে দলে নতুন ব্যবস্থায় যুক্ত হতে শুরু করলো আরব গোত্ররা। শেষ পর্যন্ত মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম বিজয়ী হল সমগ্র আরবে। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে আরবের সীমানা ছাড়িয়ে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হল পারস্য, মধ্য এশিয়া এবং ইউরোপে। গল্পের বাকি অংশ আমরা জানি।
লক্ষ্য করুন কুরাইশের সিস্টেমের ভেতরে ইসলামের প্রতিষ্ঠা হয়নি। মক্কা থেকে হিজরত করে পারস্য কিংবা বাইযেন্টাইনের সাথে যুক্ত হবার মাধ্যমেও বিজয় আসেনি। শুরু করতে হয়েছে একটা স্বতন্ত্র, স্বাধীন নেটওয়ার্ক-‘মদীনা রাষ্ট্র’- দিয়ে। অর্ধ পৃথিবী শাসন করা খিলাফাহ ব্যবস্থার সূচনা হয়েছে বিদ্যমান কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন, প্রতিদ্বন্দ্বী কাঠামো তৈরির মাধ্যমে।
আজও ইসলামের বিজয়ের চিহ্ন ঐ অঞ্চলগুলো থেকেই আসছে যেগুলো বিশ্বব্যবস্থার নিয়ন্ত্রন থেকে সবচেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন। আপাত দৃষ্টিতে এগুলো পশ্চাৎপদ, অনুন্নত, সভ্যতা থেকে দূরবর্তী জায়গা। ঠিক যেমন মদীনাও একসময় অগুরুত্বপূর্ণ এক ছোট্ট শহর ছিল। কিন্তু আজকের এ ‘অগুরুত্বপূর্ণ’ জায়গাগুলোই বিদ্যমান নেটওয়ার্কের বাইরে সত্যিকারের ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে ভালো ক্যান্ডিডেইট।
নেটওয়ার্কের বাইরে যাবার ব্যাপারটা অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে কারো অবস্থান যদি ঐ সিস্টেমের ভেতরেই হয়। অধিকাংশের জন্য নেটওয়ার্ক থেকে নিজেকে, নিজের পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করা বাস্তবসম্মত সমাধান না। সিস্টেমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত এমনকি কমিউনিটি পর্যায়ে উপকার আসতে পারে, এটাও অস্বীকার করা যায় না।
আবু বাকর, উমার, উসমানরা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) বিদ্যমান কাঠামোর ভেতরে বেড়ে উঠা যোগ্য মানুষ ছিলেন, যাদের যোগ্যতা দ্বীনের কাজে লেগেছিল। এসব দিক অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু বিদ্যমান কাঠামোর ভেতরে তাঁদের অনেক সম্মান, মর্যাদা বা প্রভাব থাকা সত্তেও শেষ পর্যন্ত এগুলোর মাধ্যমে সাফল্য আসেনি। সাফল্য এসেছে যখন এই যোগ্য মানুষগুলো বিদ্যমান কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, নতুন কাঠামো তৈরিতে নিজেদের নিবেদিত করেছেন।
তাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই সিস্টেমে অংশগ্রহণ করা গেলেও সামগ্রিকভাবে সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বিদ্যমান কাঠামোকে শক্তিশালী করবে। দীর্ঘায়িত এবং দুর্বল করবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রকল্পকে। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে শুরু করতে হবে নেটওয়ার্কের বাইরে থেকেই। কাজটা সহজ না। .পথ দীর্ঘ, প্রতিকূল এবং বন্ধুর। ইখলাস, তাকওয়া এবং কুরবানী ছাড়া গন্তব্য পৌছানো সম্ভব না। তবে সময়ের সাথে সাথে সহজ হয়ে আসবে পথচলা। শুরুর দুর্গম পথ প্রশস্থ হবে একসময় । তবে শুরুর প্রতিকূল সময়ে কাফেলায় যোগ দেয়া অগ্রপথিক আর বিজয়ের পর যোগ দেয়া ব্যক্তির মর্যাদা এক না।